বন্যা দুর্গতদের ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে ৬ মাস 



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
গাইবান্ধায় বন্যা কবলিতদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গাইবান্ধায় বন্যা কবলিতদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধা থেকে ফিরে: গাইবান্ধা জেলার চারভাগের তিন ভাগ জুড়েই দুর্গম চরাঞ্চল আর নিচু এলাকা। এবারের বন্যায় নদী কেন্দ্রিক এ জেলায় প্রায় এক লাখ পরিবারের সাড়ে তিন লাখ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব মানুষের বছরে চার মাস চলে যায় শুধু উঠে দাঁড়াতেই। কিন্তু এবার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে কমপক্ষে ছয় মাস।

প্রতিবছরই এ জেলার মানুষ বন্যা আর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। যুদ্ধ করতে হয় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে বেঁচে থাকার জন্য। এবারও বন্যা ও নদী ভাঙন দেখেছে গাইবান্ধাবাসী। কিন্তু এমন ভয়াবহতার কথা ভাবেনি। এবারের বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ গত ত্রিশ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।

উজানের ঢল আর বন্যার পানির তোড়জোড়ে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি। মারা গেছে গবাদি পশু। পানির নিচে নষ্ট হয়েছে ১১ হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি। পুকুর ডুবে ভেসে গেছে মাছও। ভেঙে গেছে কাঁচা-পাকা রাস্তা, কালভার্টসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিরক্ষা বাঁধ। বন্যার পানি দুর্গম চরাঞ্চল উপচে ঢুকেছে শহরের বুকে। যেন চারিদিকে শুধু পানি আর পানি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563808053285.jpg

এখন বন্যার পানি কমতে শুরু হলেও, কমছে না পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ। অশান্ত ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, যমুনা, করতোয়া আর তিস্তায় ধীর গতিতে বিপদসীমার নিচের দিকে যাচ্ছে বন্যার পানি। এখন ঘরে ফেরার অপেক্ষায় বানভাসি মানুষরা। নতুন করে ঘুরে দাড়াতে প্রতিবছর যেখানে সময় লেগেছে তিন থেকে চার মাস, এবার সেখানে ছয়মাসের হিসেব গুণতে হবে বন্যা দুর্গতদের।

জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ৫১ ইউনিয়ন এবারের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক লাখ ৪ হাজার পরিবারের প্রায় ৪ লাখ মানুষ। এগারো হাজার হেক্টর আবাদি জমির বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে ভেঙে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে ৫১৭ কিলোমিটার কাঁচা ও পাকা রাস্তা। সাড়ে ৫৭ কিলোমিটার বাঁধের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৮ টি কালভার্ট।

এতো ক্ষতির মধ্যে সাধারণ মানুষের বাঁচার জন্য ফসলি জমি আর মাথা গোঁজাবার ঠাঁই টুকু ঠিকঠাক করতেই কেটে যাবে কয়েক মাস। তারপরও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্তরা। তা নিয়েও চলছে হিসেব-নিকেষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563808094331.jpg

এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সোলায়মান মিয়া। ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের আনন্দবাজারে তার সাথে কথা হয়। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি জানান, ‘বন্যায় ভেসে গেছে তার ঘরবাড়ি। পানিতে ডুবে মারা গেছে দুটি ছাগল ও একটি গরু। সব সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃশ্ব। এখন কোমর পানিতে ডুবে আছে প্রায় ১০ বিঘা আবাদি জমি।’

সোলায়মান জানান, ‘পানি কমলে সে বাড়ি ফিরবে। আগেও এমন ভাঙন আর বন্যা দেখেছে। প্রতিবছর বন্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে ঘুরে দাড়াতে তিন চার সময় লাগে। কিন্তু এবার ছয় মাসেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ। অনেক ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পুষিয়ে উঠা হঠাৎ করে সম্ভব নয়।’

এই কৃষকের মত গাইবান্ধার হাজারো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের সবার আহাজারি আর হাহাকারে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। রবি মৌসুমে এসব জমিতে ফসল উৎপাদন করতে না পারলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসার ভয়ে আতঙ্কে উঠছেন তারা।

এদিকে গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে এবারের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কৃষকদের একটু বেশি সময় লাগতে পারে।’

   

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক হোটেল বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) রাতে ঘাটাইল উপজেলায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোড এলাকায় বজ্রপাতের সময় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

রোববার (৫ মে) সকালে উপজেলার ঝাইকা রাস্তার নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওয়াজেদ আলী খান ঘাটাইল সদর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের মৃত সোনা খানের ছেলে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রায়হান খান ও নিহতের পরিবার জানান, ওয়াজেদ আলী একটি হোটেলের বাবুর্চি ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাতে হোটেলের কাজ শেষ করে ঘাটাইল থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আকাশে ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। রাত ১১টায় বজ্রপাতের এক পর্যায়ে ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোডে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। রোববার সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে ঝাইকা রাস্তার নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বজ্রপাতে ঝলসে গেছে। নিহতের পরিবার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে।

;

দায়িত্বের কাছে তুচ্ছ তাপমাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যখন কঠিন, তখন ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। গেল দু-একদিন বৃষ্টি হলেও রোদের তীব্রতা কমার নাম নেই। ফেনীতে গড়ে প্রতিদিন ৩৩ থেকে ৩৬ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা অব্যাহত আছে। গরমে সাধারণ মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা ট্রাফিক পুলিশদের দায়িত্বের কাছে তাপমাত্রা যেন তুচ্ছ।

রোববার (৫ মে) দুপুরে ফেনীর মহিপাল, ট্রাংক রোড়, মিজান রোড়, ডাক্তার পাড়া মোড়সহ শহরের বি়ভিন্ন ব্যস্ত সড়কে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দেখা যায় তাদের। কড়া রোদ, তীব্র গরম, যানজট, উচ্চ শব্দের হর্ন চারদিকে। এরমধ্যে রয়েছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। সব মিলিয়ে অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলেও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতির সম্মুখে থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জেলা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফেনী সদর, সোনাগাজী, দাগনভূঞাসহ ৬ জন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই), শহরে ৬ জন সার্জেন্ট/ টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (টিএসআই), ১০ জন অ্যাসিসটেন্ট টাউন সাব-ইন্সপেক্টরসহ (এটিএসআই) ৪০ জন কনস্টেবল ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত আছে।

ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বার্তা২৪.কমকে জানায়, তীব্র গরমকে উপক্ষো করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও হিট স্ট্রোকসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি থাকলেও সাধারণ মানুষকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়।

কথা হয় ট্রাংক রোড মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশের সদস্য কনস্টেবল জামালের সাথে। তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থে এই তীব্র গরমে আমাদের রাস্তায় কাজ করতে হয়। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে বিধায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খাবার স্যালাইন, পানি, ছাতা সরবরাহ করছে। এছাড়াও নিয়মিত শরীর চেকআপ করা হচ্ছে।

মহিপালে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন কনস্টেবল মো. রিপন। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করা আমাদের দায়িত্ব। কষ্ট হলেও জনগণকে সেবা দিতে এই তীব্র দাবদাহে রাস্তায় আমরা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল আজীম মজুমদার বলেন, তাপমাত্রা যদি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও হয় আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ আমরা যদি কিছুক্ষণের জন্য থেমে যাই তাহলে তীব্র যানজট লেগে শহর অচল হয়ে যাবে। যতই রোদ, বৃষ্টি, ঝড় লেগে থাকুক আমাদের সার্বক্ষণিক রাস্তায় দায়িত্ব পালন করতে হয়।

পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) এস.এম শওকত হোসেন বলেন, ট্রাফিক পুলিশদের সবসময় রাস্তায় থেকে কাজ করতে হয়। ঝড়-বৃষ্টি, রোদ, যানবাহনের উচ্চ শব্দের হর্ন আর ধুলোয় থেকে শরীরে নানা অসুস্থতা বাসা বাঁধলেও জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়।

চিকিৎসকের মতে, তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোকের সবচেয়ে ঝুঁকিতে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে হলে মাসল ব্রেকডাউন হতে পারে। এছাড়াও ডিহাইড্রেশন হয়, শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে যায়। এর ফলে হার্টবিট অ্যাবনর্মাল হয়ে যেতে পারে, যে কারণে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি। পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে চিকিৎসা নেওয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

হিট স্ট্রোক রোধে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করার (হালকা রঙের সুতির কাপড় হলে ভালো), যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার, রোদে বাইরে যাওয়ার সময় টুপি, ক্যাপ অথবা ছাতা ব্যবহার করার, প্রচুর পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন অথবা ফলের রস পান করার, রোদে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি না করা, তীব্র শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলার।

এ প্রসঙ্গে জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল আজীম মজুমদার বলেন, ট্রাফিক পুলিশদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে সর্বোচ্চমাত্রায়। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক পানি, স্যালাইন, ছাতা সরবরাহ করা হচ্ছে এবং প্রত্যেকটি কনস্টেবলের শরীরে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে নিয়মিত চেকআপ করা হচ্ছে। যাদের সমস্যা ধরা পড়ছে তাদের স্থলে অন্য কনস্টেবলকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেককে নির্দেশনা দেওয়া আছে যাতে তীব্র রোদে একটানা কাজ না করে ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে কাজ করে। ওই ৩০ মিনিটে অন্য কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবে। এভাবে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে বলে জানান তিনি।

;

আইএবি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ পেল ‘নাফ-ডরমেটরি টেকনাফ প্রকল্প'



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থাপত্য ও নকশায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি ‘আইএবি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩’ প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস (আইএবি)। এ বছর পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘নাফ-ডরমেটরি টেকনাফ প্রকল্প'।

উদ্ভাবনী নকশা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে অনন্য স্থাপত্য হিসেবে গড়ে উঠেছে ‘নাফ-ডরমেটরি টেকনাফ প্রকল্প'। এর স্বীকৃতি হিসেবে প্রকল্পটির স্থপতি মোহাম্মদ এহসানুল আলম, মামুনুর রশিদ চৌধুরী ও সায়মা শারমিন নিপা আইএবি পুরস্কার পেয়েছেন। এই যুগান্তকারী প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইউনাইটেড গ্রুপের প্রয়াত পরিচালক নাসিরুদ্দিন আকতার রশীদ। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের একাগ্রতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রতিফলন ঘটেছে আইএবি পুরস্কার প্রাপ্তিতে।

নাফ ডরমেটরি প্রকল্পটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে নাফ নদীর তীরে ২৭ একর জমির ওপর অবস্থিত। উদ্ভাবনী নকশা এবং স্থাপত্যের কারণে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে কম সময় লাগছে। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে যা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখছে।

নাফ ডরমেটরির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে ইউনাইটেড গ্রুপের যে প্রতিশ্রুতি, তার প্রতিফলন ঘটেছে।

;

খুলনা বাদে ৭ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা বাদে বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস। 

রোববার (৫ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে জানানো হয়, খুলনা বাদে দেশের ৭ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়াও পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামীকাল সোমবার ও পরদিন মঙ্গলবার সারাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবারও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

;